সন্ধ্যা হাজির হবে ক্লান্তি নিয়ে, সেই ক্লান্তিকে গায়ে লেপ্টে,
কফির চাদরে মুড়িয়ে, পিছুটানকে ঘুমের দেশে ফেলে,
এগিয়ে যাবে অজানার উদ্দ্যেশে, চেনা খোঁজের চেষ্টায়।
পথে আদর দিয়ে ডাকবে, ‘মূহুর্তদের জানালা’, ‘ঠিক-ভুলের সমাপিকা’, ‘জীবনের পরিপাটি’।
এই সব কিছুকেই অগ্রাহ্য করে, পদতল এগিয়ে যাবে নিজের লক্ষ্যে।
মাথা নোয়াবে না, আর অন্য কোনো সিদ্ধান্তের কাছে।
পদতলের দিক থাকবে পূর্বপরিকল্পিত এবং নির্ধারিত, অতিক্রম করবে বৃষ্টির স্পর্শধ্বনি।
রোমকূপে সঞ্চিত হবে অভিমানী ‘মেঘলার’ ক্ষোভ,
ওদের ভারে নিম্মজিত হবে স্নায়ুকোষ, হৃদপিণ্ডের অতল সমুদ্রে।
তবুও থামবে না পদতল, চ্যুত হবে না লক্ষ্য থেকে।
এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাবে !
ক্ষতমাখা ‘নীলাঞ্জনা’ ছিটকে আসবে আকাশের বুক থেকে,
এসে আষ্টেপৃষ্ঠে জাপটে ধরবে শরীরের আনাচে-কানাচে !
নীলাঞ্জনার জাপটে ধরাতে শরীরে ক্ষতিগ্রস্ত উপত্যকা তৈরী হবে,
তবুও পদতল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবে না, এগিয়ে যাবে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।
এই করেই পদতল হাজির হবে ‘স্ফুলিঙ্গে’ পূর্ণ সুপ্ত পাহাড়ের কাছে।
সেই সময় ‘রাত্রি’ থাকবে কেবল সাক্ষী, আর ‘অন্য কেউ’ নয়, আর অন্য কেউ নয় !
উদ্বিগ্ন হয়ে চোখ দেখবে ‘স্ফুলিঙ্গ’ পাহাড় কে। পাহাড়ের ভাজে, যে শিরা আছে,
সেই শিরা তে, মন রেখে যাবে তার সব লালসার খিদে-কামের তৃপ্তি !
এইক্ষণ কে পরিপূর্ণ বন্দী করবে, সুরার নেশা আর বিশ্বস্ত গীতবিতান।
হঠাৎই মৃত্তিকা কেঁপে উঠবে, না পাওয়া প্রেমের চিৎকারে,
সেই চিৎকার সহ্য করতে না পেরে, শিলা রাগ দেখিয়ে নেমে এসে,
তার প্রেম দিয়ে আঘাত করতে করতে, ক্ষতিগ্রস্ত দেহটাকে পৌঁছে দেবে, পাহাড়ী ‘তিস্তার’ কাছে।
‘ঠিক-ভুলের-সমাপিকা’, ‘বৃষ্টির স্পর্শধ্বনি’, ‘অভিমানী মেঘলার ক্ষোভ’, ‘ক্ষতমাখা নীলাঞ্জনা’,
‘সাক্ষীর রাত্রি’, ‘তৃপ্তির কাম’, ‘কম্পিত মৃত্তিকা’, সকলেই তাদের নিজ নিজ ভাষায় প্রেম নিবেদন করবে।
আর জীবন তাদের সকলের প্রেম কে চুম্বন করে, তার বাকি রহস্যটুকু গীতবিতানের ভিতর ছেড়ে যাবে।
কিছুদিন পর এক নিথর দেহ, পাহাড়ী তিস্তার বুকে তাকে জড়িয়ে শুয়ে থাকবে,
আর তিস্তা বয়ে নিয়ে চলবে, এই সব কিছুর ইতিহাস-টা।
এভাবেই মৃত্যু তার চিঠি নিয়ে আসবে আমার জন্য আর নিয়ে চলে যাবে এক ‘কবিতা প্রেমিক’- কে,
এভাবেই চলমান বৃত্ত থেকে, ‘মুক্তি ঘটবে আমার’, মুক্তি ঘটবে আমার !
– Poem – আমার মুক্তি খোঁজার পথ | Pen Name – তোমায় খুঁজছি তিস্তার ওপারে
Featured image courtesy: pxhere.com